সোমবার বিকেলে কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, খান চৌধুরী দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে সরকারি কাজে বাধা ও ভোট কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ৬০০ জনকে আসামি করে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার অভিলাষময় ঈশর বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
এছাড়া উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আরও ৬০০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন।
এদিকে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত লোকমান হোসেনের লাশ সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রিটার্নিং ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে রোববার রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সভা, সমাবেশ ও আনন্দ মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রোববার ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফলাফল ঘোষণার পর এক পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা খান চৌধুরী দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে হামলা চালায়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে। শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কর্মী লোকমান হোসেন (৫৫)। গুলিবিদ্ধ হয় আরও ১০ জন।