এইচএসসিতে পরীক্ষার্থী কমার ‘৪ কারণ’

এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে গতবারের চেয়ে ৬৭ হাজার ৪৯০ জন পরীক্ষার্থী কমেছে। এর পেছনে চারটি কারণকে চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2015, 12:26 PM
Updated : 30 March 2015, 01:13 PM

২০১৪ সালে মোট ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। আর বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এবারের পরীক্ষায় বসতে যাচ্ছে ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষার্থী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সোমবার বলেন, প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসাবে যারা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) দিয়েছিল তারাই এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার এটি একটি কারণ হতে পারে।

“পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার পেছনে সৃজনশীল বিষয়ের প্রভাব থাকতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া অনিয়মিত পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার ফলেও এবার মোট পরীক্ষার্থী কমেছে।”

নাহিদ বলেন, ২০১৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে পাস করেছিল কম, তাই ২০১৪ সালে অনিয়মিত শিক্ষার্থী বেড়ে গিয়েছিল। গতবারের চেয়ে এবার অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ১২ হাজার ১১ জন কম, মোট পরীক্ষার্থী কমার এটাও কারণ।

এইচএসসিতে গত বছর বাংলা প্রথম পত্র, রসায়ন, পৌরনীতি, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, জীববিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ ও ব্যবহারিক ব্যবস্থাপনা, সমাজ বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার শিক্ষা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রেরসহ মোট ২৫টি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়েছিল। এবারও এসব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে।

ফাইল ছবি

সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবারের পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, নবম শ্রেণিতে নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীরা এসএসসি এবং একাদশে নিবন্ধনকারীদের সবাই যদি এইচএসসিতে অংশ নিতে না পারে তাহলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এজন্য জবাব দিতে হবে।

নিবন্ধন করেও কেনো শিক্ষার্থী মূল পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলে তার কারণ জেনে সেই সমস্যা মোকাবেলার ব্যবস্থা নিতে হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফল ‘ভাল দেখানোর জন্যও’ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিছু শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় ‘বসতে দেওয়া হয় না’ বলে জানান মন্ত্রী।

এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করলেও ক্লাসে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি থাকলে শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ঝরেপড়া বন্ধ হয়নি স্বীকার করে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এটা রোধ করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।”

এবার হরতাল-অবরোধের মধ্যেই ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। ১১ জুন তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ১৩ থেকে ২২ জুন হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।