সোমবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বড়ইতলায় এ হামলায় নিহত হন আরিফ পাঠান (৪৫)।
এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে ১০টি গাড়ি ভাংচুর করেছে।
শিবপুর মডেল থানার ওসি খন্দকার ইমাম হোসেন জানান, আরিফ পাঠান মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
বড়ইতলায় মোটরসাইকেল থামিয়ে দঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে দুটি মোটরসাইকেলযোগে আসা সন্ত্রাসীরা তার মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়।
ওসি বলেন, এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে।
খবর পেয়ে নরসিংদী পুলিশ সুপার আমেনা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়ে অবরোধকারীদেরকে মহাসড়ক থেকে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানান।
বেলা ৩টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা অবরোধ প্রত্যাহার করে বলে জানান ওসি।
নিহতের ছোট ভাই রোমান পাঠান (২৫) জানান, তার ভাই আরিফ পাঠান পুটিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে তিন বার সদস্য পদে নির্বচিত হয়েছেন। তার প্রতিপক্ষ মিলন মিয়া ৩ বার প্রতিদ্বন্দিতা করে পরাজিত হন।
তার ধারণা, পরাজয়ের কারণে মিলন মিয়ার লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।