এ দাবিতে সোমবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সামনে তারা মানববন্ধন করেছে।
আদিবাসী ছাত্র পরিষদ জেলা শাখা আয়োজিত এ মাবনববন্ধনে শতাধিক আদিবাসী নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই খামার থেকে পুলিশ গুপেনের গলায় ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করে।
মানববন্ধন থেকে ৪ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
তাদের দাবিগুলো হলো গুপেন সরেন হত্যার ময়নাতদন্তের সঠিক রিপোর্ট প্রদান, সুষ্ঠু তদন্তসহ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার, গুপেন সরেনের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সারা দেশে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া আদিবাসীদের উপর নির্যাতন, ভুমি থেকে উচ্ছেদ, ঘরবাড়ি ভাংচুর এবং হত্যায় জড়িততের গ্রেপ্তার ও বিচার করা।
মৃত গুপেন সরেনের বাবা হোপনা সরেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বীরগঞ্জের এম এস হক ট্রেডার্স নামে একটি বীজ খামারে শ্রমিক ছিলেন গুপেন সরেন (৩৫)।
তার দাবি, তার ছেলে খামার মালিকের বিশ্বস্ত হওয়ায় সেখানে কর্মরত বাঙালি কর্মচারীরা অনিয়ম-দুর্নীতি করতে না পারায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বীরগঞ্জ থানার ওসি শওকত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গুপেন সরেনের লাশ উদ্ধারের পর তার পরিবারের অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে এবং ইউডি মামলাসহ লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।