বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শওকত হাসান জানান, রোববার রাত আড়াইটার দিকে শহরের বগুড়া রোডে ওই কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত নেছার প্যাদার (৪৮) গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপায়। তিনি ওই কারখানার কর্মী ছিলেন।
দগ্ধ অন্যরা হলেন- ফারুক হাওলাদার, আবদুল রশিদ, জাকির হোসেন ও সিজান নন্দি। তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা শওকত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কারখানার পেছনের ভবনের চতুর্থ তলায় ওষুধ প্যাকেজিংয়ের ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা দ্রুত পঞ্চম তলায় ছড়িয়ে পরে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের তিনটি, বানারীপাড়া ও ঝালকাঠীর একটি করে ইউনিট এসে আগুন নেভানোর পর ভেতর থেকে পাঁচ শ্রমিককে দগ্ধ অবস্থায় বের করে আনেন উদ্ধারকর্মীরা।
তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে নেছারকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ জানাতে পারেননি শওকত হাসান।
এদিকে একই রাতে গৌরনদী উপজেলার টরকি বন্দরেও অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে বলে গৌরনদী থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন।
তিনি জানান, আগুন নেভাতে গিয়ে সেখানে পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।