ইসির ভূমিকা নিয়ে সুজনের অভিযোগ

সিটি নির্বাচনে ইসি সুষ্ঠু ভাবে কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেছেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

রোববার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’ নামে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের কোন সুযোগ নেই। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে প্রচারণামূলক কাজ করা হচ্ছে, যা নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

প্রার্থীরা যাতে আচরণবিধি মেনে চলে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নির্বাচন কমিশন যেভাবে দায়িত্ব পালন করার কথা সেভাবে দায়িত্ব পালন করছে না অভিযোগ করে বদিউল আলম বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য প্রার্থীদের কারণ দর্শানোর নোর্টিস দিচ্ছে কমিশন। কিন্তু এটা কি যথেষ্ট ভূমিকা হতে পারে?

কমিশন কঠোর না হলে তাদের ভূমিকা কি, প্রশ্ন তার।

বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো অনেক প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখছে মন্তব্য করে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বদিউল।

লিখিত বক্তব্যে সুজন-চট্টগ্রামের সদস্য অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী বলেন, নির্দলীয় নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে এবং ভোটারদেরও জন্য অনেক বেশি পছন্দ থাকে। ফলে তাদের যোগ্যপ্রার্থী খুঁজে পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

তিনি আরও বলেন, “সিটি কর্পোরেশন বিধিমালার ৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনপ্রার্থী ভোট গ্রহণের ২১ দিন আগে কোন নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারেন না। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই কয়েকজন প্রার্থীর পক্ষ থেকে চট্টগ্রামসহ তিন সিটিতে বিলবোর্ড স্থাপন ও পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করা হচ্ছে।”

সংবাদ সম্মেলন থেকে সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শন্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া প্রার্থীরা যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলে সে ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা পালন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানায় সুজন।

অন্যদের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে সুজন-চট্টগ্রামের সম্পাদক অধ্যাপক মু. সিকান্দার খানও উপস্থিত ছিলেন।