রোববার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর পক্ষে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এ তথ্য জানান।
গোলাম দস্তগীর গাজীর একটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, “নতুন প্রযুক্তি নির্ভর অনেক যোগ্য নির্মাতা জীবনধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে, যার কারণে দর্শকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ভারতে কোন একটি বড় মার্কেট নির্মাণ করলে সেখানে একটি সিনেপ্লেক্স রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু আমাদের দেশে তা নেই।
“এ বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়টি সরকার পর্যালোচনা করছে। ফলে আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চলচ্চিত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।”
বর্তমানে রাজধানীতে বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্কে সিনেপ্লেক্স রয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলা চলচ্চিত্রের মান উন্নয়ন ও মানসম্পন্ন করতে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতিবছর পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ লাখ টাকা এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।
অনুদানের আর্থিক পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আসাদুজ্জামান নূর জানান, চলচ্চিত্রের পুরনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ৩ এপ্রিলকে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’ হিসেবে ঘোষণার পাশাপাশি চলচ্চিত্রকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও হল মালিকরা আর্থিক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
সেলিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ টেলিভিশন করসহ মোট ৮৮ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা রাজস্ব আয় করেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গত ৮ মাসে সর্বমোট আয় ৬১ কোটি ৭১ লাখ ৮ হাজার টাকা মাত্র। আর বাংলাদেশ বেতার হতে বছরে রাজস্ব আয় গড়ে ১০ কোটি টাকা।
মনোয়ারা বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বিএনপি-জামায়াত জোটের পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও জ্বালাও-পোড়াওসহ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহ প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সকল টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতার কেন্দ্রসমূহকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।”