যুদ্ধের কারণে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফিরতে পারছেন না তারা। ইয়েমেনে বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকায় তারা কোনো সহায়তাও পাচ্ছেন না।
ঘটনাটি শুনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ওই দুই প্রকৌশলীকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
গত কয়েক মাস ধরে অস্থিরতা চলছে মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরবের প্রতিবেশী দেশ ইয়েমেনে। সম্প্রতি সেদেশের হাউথি বিদ্রোহীরা রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
আটকে থাকা গোলাম মোস্তফা টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি এক মাস আগে সানায় যাওয়ার পর পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে।
সানায় প্রায় প্রতিদিনই বোমা হামলা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, একারণে কোনো ফ্লাইট চলছে না। দেশে ফেরার কোনো উপায় নেই।
মোস্তফা বলেন, “এখানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই, তাই কোনো সাহায্যও পাচ্ছি না। পাকিস্তান দূতাবাসের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছিলাম, কিন্তু তারা বলছে, এই মুহূর্তে বিদেশি কোনো নাগরিককে সেবা দেওয়ার সুযোগ তাদের নেই।”
এরপর গোলাম মোস্তফা ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে তাতেও কোন লাভ হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
“সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার অনেক আগেই দূতাবাস গুটিয়ে নিয়েছে। এখন বুঝতে পারছি না, কী করব? আপাতত সানায় হোটেল শাহরানে অবস্থান করছি।”
মোস্তফা জানান, সানায় আরও একজন বাংলাদেশি প্রকৌশলী আটকা পড়েছেন। তিনি পাশের একটি হোটেলে রয়েছেন।
গোলাম মোস্তফার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের বরাতিপাড়া গ্রামে। তার স্ত্রী এবং দুই ছেলে থাকেন মোহাম্মদপুরের শেখেরটেকের ১২ নম্বর সড়কে।
এই দুই বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইয়েমেনে আমাদের দূতাবাস না থাকায় ঘটনাটি শোনার পর কুয়েত দূতাবাসকে বলা হয়েছে। তাদের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।”
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়া হাউথি বিদ্রোহীরা দেশটির রাজধানী সানা দখল করে যুক্তরাষ্ট্রপন্থি প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদিকে রাজধানী ছাড়তে বাধ্য করে।
হাউথিরা গত সপ্তাহে মধ্যাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর তায়িজ দখল করে নেয়। তারা প্রেসিডেন্ট হাদির নতুন ঘাঁটি বন্দর শহর এডেনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ইয়েমেন সীমান্তে কামান, ট্যাঙ্কসহ ভারী সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে সুন্নিশাসিত রাষ্ট্র সৌদি আরব।