ভোটে পেছাবে তিন দিনের পরীক্ষা

ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটির নির্বাচনের জন্য পেছানো হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের তিন দিনের পরীক্ষা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2015, 07:41 AM
Updated : 29 March 2015, 01:52 PM

রোববার সচিবালয়ে এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের বিষয়ে এক সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ভোট আয়োজনে ২৬, ২৭ ও ২৮ এপ্রিলের পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন করা হবে।

“নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে এই তিন দিনের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করে দেওয়া হবে। নতুন তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।”

সূচি অনুযায়ী এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ১ এপ্রিল। আর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে ভোট হবে আগামী ২৮ এপ্রিল।

রোজার আগে নির্বাচন শেষ করতে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে পরীক্ষার সূচি পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাড়া পেয়েই গত ১৮ মার্চ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।     

বিএনপি জোটের অবরোধ-হরতালে চলতি এসএসসি ও সমমানের সবগুলো অর্থাৎ, ১৬ দিনের ৩৬৮টি পরীক্ষা পেছাতে বাধ্য হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষাগুলো নেওয়া হয় ছুটির দিনে, শুক্র ও শনিবার।

গত ৫ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে টানা অবরোধ চালিয়ে আসা বিএনপি জোট ফেব্রুয়ারি ও মার্চের বেশিরভাগ সময় ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই হরতাল করে এসেছে।

তবে এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে যে এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো হবে না- শিক্ষামন্ত্রী তা আবারও জানিয়েছেন।

নাহিদ বলেন, “যা কিছু ঘটুক, নির্ধারিত সময়েই আমরা পরীক্ষা নেব। এর ব্যত্যয় হবে না। এসএসসির মতো ফাঁকে ফাঁকে পরীক্ষা নিলে এ পরীক্ষা শেষ হতে দীর্ঘদিন লেগে যাবে।”

বিএনপির সমালোচনায় তিনি বলেন, “আমরা আর কত বিনয়ী হব, আর কত নত হব? আমি এত চিৎকার করলাম অন্তত পরীক্ষার আগে পরে দুই ঘণ্টা হরতাল দেবেন না। কেউ তা আমলে নেয়নি।”

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “দয়া করে পরীক্ষায় আর বাধা সৃষ্টি করবেন না। আর সর্বনাশের দিকে যাবেন না, হাত গুটিয়ে নিন।”

তিনি জানান, হরতাল-অবরোধে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে; আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ‘অর্ধেক’ চলেছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ‘সবার সঙ্গে কথা বলে’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

“কীভাবে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায় সেজন্য অধ্যক্ষদের সঙ্গে বসে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করব। ছুটি কমিয়ে, না অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে ক্ষতি পোষানো হবে- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, বিভিন্ন বোর্ড চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র এবং তথ্য মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বিটিআরসির প্রতিনিধিরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।