চাঁদা চেয়ে শিক্ষার্থীদের পিটুনির পর প্রধান শিক্ষক প্রহৃত

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার একটি বিদ্যালয়ে বনভোজনের চাঁদা না পেয়ে ৪২ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2015, 12:47 PM
Updated : 28 March 2015, 01:58 PM

বাঘা থানার ওসি আমিনুর রহমান জানান, শনিবার সকালে উপজেলার চণ্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটনার জের ধরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পিটিয়েছেন বিক্ষুব্ধ অভিভাবরা।

গুরুতর আহত নজরুল ইসলামকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের মারধরে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে আটক করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ২৯ মার্চ চণ্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বনভোজনের দিন ঠিক করে শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা চাঁদা ধরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে ওই চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেন। শনিবার চাঁদা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। কিন্ত বিদ্যালয় চত্বরে বনভোজনে আপত্তি জানিয়ে আসছিল কয়েকজন শিক্ষার্থী।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চাঁদা তোলার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী চাঁদা দিতে না চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে ৪২ শিক্ষার্থীকে মারধর করেন মোহাম্মদ আলী। এদের মধ্যে পিয়াস, রাকিব, রুমা, পারভেজ, সেলিম, মাহফুজা, শামিম, রাজু, রিয়া, বৃষ্টি, আসিব, স্বপন, শাবনূর, চৈতী ও রাহিদ বেত্রাঘাতে গুরুতর জখম হন।

ওসি আমিনুর বলেন, মারধরের খবর পেয়ে অভিভাবকরা স্কুলে এসে শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে ধাওয়া দিলে একটি কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। তাকে না পেয়ে ক্ষিপ্ত অভিভাবকরা তার মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।

“এ সময় প্রধান শিক্ষক বের হয়ে এসে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলে পিটুনির শিকার হন তিনি। এতে তার মুখের সামনের দুটি দাঁত ভেঙে যায়।”

খবর পেয়ে বাঘার ইউএনও বাদল চন্দ্র হালদারকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

পরে অভিভাবকদের দাবির মুখে প্রথমে সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে অব্যাহতিপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল ফজল বলেন, “যেভাবে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে চাকরিচ্যুত করাসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।