নকুল চন্দ্র ঘোষ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের ঘোষালকান্দি গ্রামের মৃত তিলক চন্দ্র ঘোষের ছেলে। তিনি মাদারীপুর জেলার চরমুগুরিয়া কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে অষ্টমী পুণ্যস্নান শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর একটি বেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়ার গুজবে আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুগিতে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়।
নকুল চন্দ্র স্ত্রী সবিতা রানী ঘোষ ও একমাত্র ছেলে মিশুক ঘোষকে রেখে যান।
স্ত্রী সবিতা রানী ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে নকুল বৃহস্পতিবার রাতে লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসবে গিয়েছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তার কর্মস্থল চর মুগুরিয়া কলেজে লাশ আনা হলে এক আবেগঘন দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
সেখানে সহকর্মী, শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ঘোষালকান্দি গ্রামের সমাজ সেবক অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, চর মুগুরিয়া কলেজ থেকে রাত ৯টার পর মরদেহ নিয়ে ছেলে মিশুক, স্ত্রী সবিতা ও স্বজনরা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। রাতেই গ্রামের বাড়িতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে তিনি জানান।
অনুপ কুমার বিশ্বাস জানান, নকুল ঘোষ চর মুগুরিয়া কলেজে অধ্যাপনা করতেন। তিনি স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে মাদারীপুরেই থাকতেন।
তার বড় ভাই হরিপদ ঘোষ অনেক আগেই মারা গেছেন। গ্রামের বাড়িতে তার বড় ভাই হরিপদ ঘোষের ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে থাকেন।
বাড়িতে নকুল ঘোষের একটি বসত ঘর রয়েছে। মাঝে মধ্যে গ্রামে এলে ওই ঘরেই থাকতেন তিনি।