নির্বাচন কর্মকর্তাকে ‘মারধর’, মামলায় আ. লীগ নেতাকর্মী

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে এক সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2015, 01:00 PM
Updated : 27 March 2015, 01:00 PM

বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, স্বাধীনতা উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) রাতে আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মাহবুব আলী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি সৈয়দ মো. শাহজাহান, পৌর মেয়র হীরেন্দ্র লাল সাহা প্রমুখ।

অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছিলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম।

অভিযোগে বলা হয়, উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান তার বক্তব্যে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার এ বক্তব্যের পর উপস্থাপক শহিদুল ইসলাম তাকে ধন্যবাদ জানান।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মুসলিমসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মঞ্চে উঠে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার উপর চড়াও হন। তাকে মারধর থেকে বাঁচাতে সাংসদ মাহবুব আলী এগিয়ে গেলে তিনিও ধাক্কাধাক্কির শিকার হন।

এ ঘটনায় রাতেই মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহ মো. মুসলিম, শাহ মো. রফিক, রফিক ভূইয়া, শাহ মো. তরিক, শাহ মো. জয়নাল, শাহ মো. স্বপন, শাহ মো. রিপন, টিপু শাহ, জাবেদ মিয়া, বিল্লাল হোসেন খান, শাহ মো. বিল্লাল, এমরান মিয়া, ইয়াকুব আলীসহ ২০ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০/৪৫ জনকে আসামি করা হয়।

এ ব্যাপারে বাদী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “এমপি সাহেবের উপস্থিতিতে কোনো কারণ ছাড়াই তারা আমার উপর হামলা করেছে। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।”

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মুসলিম বলেন, স্বাধীনতা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা বিরোধী দণ্ডিত রাজাকার সৈয়দ মো. কায়সারের ভাই সৈয়দ মো. শাহজাহান স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম বারবার উচ্চারণ করেন।

এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামের উপর চড়াও হন।

১২ বছর ধরে মাধবপুরে কর্মরত ওই নির্বাচন কর্মকর্তা স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে আঁতাত করে অনুষ্ঠান পরিচালনা করছিলেন বলে অভিযোগ শাহ মো. মুসলিমের।

মাধবপুর থানার ওসি মোল্লা মনির হোসেন জানান, মারধরের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।