পদ ছেড়ে মনোনয়নপত্র নিলেন মনজুর

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পদত্যাগ করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বর্তমান মেয়র মনজুর আলম।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2015, 10:05 AM
Updated : 27 March 2015, 12:24 PM

তিনি বলেছেন, “চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের পক্ষে এবং বাংলাদেশ জতীয়তাবাদী দলের সমর্থনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছি। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনে সহযোগিতার জন্য আমি নগরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। বিচারের ভার নগরবাসীর হাতে।”

শুক্রবার বিকালে বন্দরনগরীর জুবিলি রোডে চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেনের কাছ থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের পর সাংবাদিকদের সামনে আসেন মনজুর।

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।

দুপুরে জুমার নামাজের পর আমানত শাহের মাজার জিয়ারত করে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দরকিল্লা মোড়ে নগর ভবনে যান মনজুর আলম।  মেয়রের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ হোসেনের কাছে তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

২০১৫ সালের ২৬ জুলাই পর্যন্ত মনজুরের মেয়াদ থাকলেও লাভজনক পদে থেকে ভোটে দাঁড়ানোর নিয়ম না থাকায় তাকে পদত্যাগ করতে হলো।

এর আগে ২০১০ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকেও পদ ছেড়ে প্রার্থী হতে হয়েছিল। ওই নির্বাচনে নিজের রাজনৈতিক ‘গুরু’ মহিউদ্দিনকে ৯৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন মনজুর।

পদত্যাগের আগে নগর ভবনের মিলনায়তনে করপোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মেয়র মনজুর বলেন, “আপনারা সবসময় আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আশা করি আমার অনুপস্থিতিতে আপনারা আগের মতোই সব কাজ ভালোভাবে করে যাবেন। আমার ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।”

সিসিসির প্রধান নির্বাহী কাজী শফিউল আলম এরপর মনজুরের দিকে পদত্যাগপত্র এগিয়ে দিলে তাতে সই করে প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ হোসেনের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন মনজুর আলম।

নগর ভবন থেকে তিনি সরাসরি জুবিলী রোডে চট্টগ্রাম সার্ভার স্টেশনে যান। সেখানে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেনের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র।

মনজুরের সঙ্গে থাকা আবদুল্লাহ আল নোমান এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, “গত সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে না পারার যে ক্ষোভ জনগণের মধ্যে আছে সিটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তার প্রতিফলন হবে। জনগণ মেয়র প্রার্থী মনজুরকে বিপুল ভোটে জয়ী করবে।”

সরকারের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে’ জনগণ যাতে ভোট দিতে ভীত না হয়- সে লক্ষ্যেও কাজ করবেন বলে জানান নোমান।

বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের সংগঠন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলন বুধবার রাতে মেয়র পদে মনজুর আলমকে প্রার্থী ঘোষণা করে। পরদিন চট্টগ্রাম বিএনপির পক্ষ থেকে মনজুরকে মেয়র পদে সমর্থনের ঘোষণা দেন জ্যেষ্ঠ নেতারা।

বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো ঘোষণা না দিলেও মনজুর আলমকে চট্টগ্রামের নেতাদের সমর্থনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নোমান বলেন, “বিএনপি, ২০ দল ও নাগরিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ। প্রার্থীকে নিয়ে কোনো দ্বিধা দ্বন্দ্ব নেই। মনজুরকে জয়ী করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করব।”

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুসারে ২৮ এপ্রিল ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটিতে ভোট হবে। এর আগে ২৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার সুযোগ আছে।