তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রের বিকাশে অব্যাহতভাবে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির চর্চা, পরমতসহিষ্ণুতা, সংযম এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ খুবই জরুরি।
“এ জন্য জাতীয় জীবনে আমাদের আরও ধৈর্য, সংযম ও সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। অন্যের মতামতের প্রতি থাকতে হবে শ্রদ্ধাশীল। জাতীয় সংসদকে পরিণত করতে হবে সকল আলোচনা ও সমস্যা সমাধানের কেন্দ্রবিন্দুতে।”
শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক স্থানীয় সরকার সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাব) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের ‘শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে পরিণত করতে স্থানীয় সরকার প্রনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, “আপনারা নিজ নিজ এলাকায় সম্মানিত ব্যক্তি এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মধ্যমনি। আপনাদের কেন্দ্র করেই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো গতিশীল ও জনকল্যাণমুখী হয়ে ওঠে। আপনাদের সাথে জনগণের মধ্যে নিবিড় সেতুবন্ধ সৃষ্টি হয়, যা উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
জনপ্রতিনিধিরা জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে তাদের কল্যাণে ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে’ দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আবদুল হামিদ।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের আন্তরিকতার কথা তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, “স্থানীয় সরকার কাঠামো আরও শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণসহ এসব প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমি জেনেছি সরকার ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ প্রণয়নসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধি-বিধান তৈরি করেছে। ফলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যসম্পাদন পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি স্বচ্ছ, সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট হয়েছে।”
ম্যাবের সভাপতি মো. আবদুল বাতেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, স্থানীয় সরকার সচিব আব্দুল মালেক, কমনওয়েলথ লোকাল গভার্নমেন্ট ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল কার্ল রাইট, ইউনাইটেড সিটিজ অ্যান্ড লোকাল গভার্নমেন্টস এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সেক্রেটারি বার্নাদিয়া ইরাবতী, ম্যাবের উপদেষ্টা আসমত উল্লাহ খান ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আল রাজি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।