‘প্রার্থী হতে প্যানেল মেয়রকেও পদ ছাড়তে হবে’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনজুর আলম আবারও প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় নিয়মানুযায়ী প্যানেল মেয়রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা প্রার্থী হতে পারবেন কিনা তা নির্বাচন কমিশনের  কাছে জানতে চেয়েছেন আঞ্চলিক রিটার্নিং কর্মকর্তা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2015, 03:11 PM
Updated : 26 March 2015, 03:54 PM

বুধবার চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাতেন এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।

নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রভুক্ত কাউন্সিলররা ভোটে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। মনজুর মেয়র পদ ছাড়লে এবং প্যানেল মেয়র প্রার্থী হলে পরবর্তী বিষয়ে নির্দেশনা দেবে ইসি।

জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে চট্টগ্রামে প্যানেল মেয়রের মধ্যে রয়েছেন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, সংরক্ষিত ২ মহিলা ওয়ার্ডের জোবাইরা নার্গিস খান ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের হাসান মাহমুদ হাসনী।  ইতোমধ্যে তিনজনই কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন চিঠিতে বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রার্থী হতে হলে মেয়র পদ ছাড়তে হবে। তবে কাউন্সিলররা পদে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন। কিন্তু প্যানেল মেয়র প্রার্থী হলে পদ ছাড়তে হবে কিনা সে বিষয়ে নির্দেশনা নেই।

এবিষয়ে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল মোবারক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্যানেল মেয়রের দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলরও স্বপদে থেকে ভোট করতে পারবেন না। ভোটে অংশ নিতে হলে তাকেও পদ ছাড়তে হবে।”

বুধবার ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলন’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান মেয়র মনজুরকে আবারও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

এক রিটের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২৫ মে উচ্চ আদালত মেয়র পদকে ‘লাভজনক’ হিসাবে চিহ্নিত করে। এ কারণে নির্বাচন কমিশনের ২০০৮ সালের ১৪ মে জারি করা এক অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্বপদে থেকে মেয়র পদে নির্বাচন অযোগ্য ঘোষিত হয়। তবে কাউন্সিলর পদ সার্বক্ষণিক লাভজনক পদ না হওয়ায় এই পদে থেকে নির্বাচনে কোনো বাধা নেই।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের পর প্রথম সভায় একজন সংরক্ষিত কাউন্সিলরসহ তিন কাউন্সিলরকে নিয়ে তিন সদস্যের প্যানেল নির্বাচিত করা হয়। মেয়র পদত্যাগ করলে প্যানেল থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব নেন। প্যানেল মেয়র না থাকলে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্যানেল মেয়র ঠিক করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক বলেন, “প্যানেল মেয়রের দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলর স্বপদে থেকে ভোট করতে পারবেন না। প্যানেল মেয়রের তিনজনই যদি ভোটে অংশ নেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে এবং নতুন প্যানেল তৈরি হবে।”

এর পার নির্বাচনী আইন মেনে প্রয়োজনে সরকারই নতুন প্যানেল মেয়র করে দেবে।

নির্বাচন কর্মকর্তাদের মতে, প্যানেল মেয়রের দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলর মেয়র সব সুবিধা ব্যবহার করবেন। ভোটেও তার প্রভাব খাটানোর সুযোগ থাকে। এজন্যই মেয়রের মতোই প্যানেল মেয়রও লাভজনক পদ।