স্বাধীনতা দিবসে মিলনমেলা বঙ্গভবনে

প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলের দলের রাজনীতিক, কূটনীতিক থেকে শুরু করে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সঙ্গে শিল্পী, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বদের স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে এক করলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2015, 01:34 PM
Updated : 26 March 2015, 06:50 PM

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবার উপস্থিতিতে সরগরম ছিল বঙ্গভবন প্রাঙ্গণ।

প্রথা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের এই আয়োজনে ভিন্ন মাত্রা আনে বরেণ্য শিল্পীদের দেশাত্মবোধক ও লোকগান এবং শিশুশিল্পী ও সশস্ত্র বাহিনীর বাদক দলের সংগীতের মূর্চ্ছনা।

স্বাধীনতার ৪৪তম বার্ষিকীতে যার আয়োজনে এই অনুষ্ঠান হল, সেই আবদুল হামিদ কুশল বিনিময় করেন অতিথিদের সঙ্গে, তার সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

বিকাল পৌনে ৫টায় স্ত্রী রাশিদা খানমকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গভবনের মাঠে আসেন রাষ্ট্রপতি। তার খানিক আগে রাষ্ট্রপতির ভবনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

রাষ্ট্রপতি সস্ত্রীক মঞ্চে উঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত। এরপর পরস্পর কুশল বিনিময় করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

তারা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

এরপর অনুষ্ঠান মাঠে ভিভিআইপিদের জন্য সংরক্ষিত এলাকায় (এনক্লোজার) স্বাধীনতা দিবসের কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

এরপর তারা মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিদেশি অতিথি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, গণমাধ্যমের সম্পাদক, তিন বাহিনীর প্রধানসহ সমারিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

ভিভিআইপি এনক্লোজারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে বসেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, তার পাশে ছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

বঙ্গভবনের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বেসামরিক বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক যোগ দেন। ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, গওহর রিজভীও।

ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন, ইইউর ঢাকা মিশনের প্রধান পিয়েরে মায়োদন, কানাডার হাই কমিশনার বেনওয়া পিয়ের লাঘামে, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ও ডিপ্লোমেটিক কোরের ডিন শায়ের মোহাম্মদসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থী ব্যবসায়ী আনিসুল হক ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে শিল্পী ফাতেমা-তুজ-জোহরা, ফকির আলমগীর, কিরণ চন্দ্র রায়, মমতাজ বেগম ও আবু বকর সিদ্দিক তাদের গানের সুরে মোহাবিষ্ট করেন সবাইকে।

চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের রাষ্ট্রপ্রধানের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলেও দলটির কাউকে দেখা যায়নি।