স্বাধীনতা দিবসে মুজাহিদের নামফলক ভাংচুর

স্বাধীনতা দিবসে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের নাম লেখা একটি ফলক ভাংচুর করেছে কিশোরগঞ্জ ছাত্রলীগ।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2015, 08:47 AM
Updated : 26 March 2015, 08:49 AM

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের গাইটাল এলাকায় সরকারি বালিকা শিশু পরিবার ভবনের ওই নামফলকের অংশবিশেষ ভেঙে যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদের নাম তুলে ফেলেন তারা।

জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শফিকুল গণি ঢালি লিমন ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলীর নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী একাত্তরের বদর নেতার নাম উঠিয়ে দেওয়ার কাজে অংশ নেন।

একাত্তরে বাঙালির স্বাধীনতার পথ রুদ্ধ করতে সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং সাম্প্রদায়িক হত্যা-নির্যাতনের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদকে গত বছরের ১৭ জুলাই মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

২০১৩ সালের ১৭ জুলাই রায়ের দিন কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যাওয়ার পথে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ

অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি ঘটনায় মুজাহিদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেওয়া হয় রায়ে।

সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুর্নবাসিত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের অংশীদার হয়, যেখানে মুজাহিদকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মন্ত্রী থাকাকালে ২০০৬ সালের ১৭ জুন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এম ওসমান ফারুকের সঙ্গে  যৌথভাবে কিশোরগঞ্জ শিশু পরিবারের ওই নতুন ভবন উদ্বোধন করেন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ।

প্রস্তরফলকে যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদের নামের অংশ ভেঙে দেওয়া হলেও এম ওসমান ফারুকের নাম লেখা অংশটি অক্ষত রয়েছে। এই অংশে কোনো ভাংচুর করেননি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল গণি ঢালি লিমন বলেন, “কিশোরগঞ্জের মাটিতে কোনো রাজাকারের নাম থাকতে দেওয়া হবে না।”