স্বাধীনতার নৃত্য-গীতে যুদ্ধদিনের কথা

পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য ৪৪ বছর আগে যে দিনে বঙ্গবন্ধুর ডাকে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিকামী বাঙালি, নেচে-গেয়ে সেই দিনকে স্মরণ করলেন শিশু-কিশোররা।

কাজী নাফিয়া রহমানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2015, 08:12 AM
Updated : 26 March 2015, 08:50 AM

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শুরু হয় শিশু-কিশোরদের নাচ, গান আর কবিতার আসর।

সেখানে দেশাত্মবোধক গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করেন ঢাকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশু-কিশোররা।

খেলাঘর, কল্পরেখা, ইউসেপ টুইটা বোট ফিল্ড স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস স্কুল ও নৃত্যজনের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন পরিবেশনায়।

‘হায়রে আমার মন মাতানো দেশ, হায়রে আমার সোনা ফলা মাটি’; ‘গেরিলা, আমরা গেরিলা’; ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খিস্ট্রান, বাংলার মুসলমান’; ‘আমার পরিচয়’ ইত্যাদি গান, কবিতায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগতদের মুগ্ধ করেন তারা।

মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণাদায়ী গান-কবিতা যেন স্মরণ করিয়ে দেয় যুদ্ধদিনের কথা।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে চলছে বইমেলা।

এছাড়া সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মহাদেব সং যাত্রাদল মঞ্চস্থ করবে সং যাত্রা; থাকবে চিত্র প্রদর্শনীও।

এর আগে সকালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আক্কু চৌধুরী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, “একাত্তরের এদিনে বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এক সময় তারা পাক-হানাদারদের পরাস্ত করে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

“তাই জাতির জনকের অবদান ও ত্যাগের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সামনের প্রতিবন্ধকতাকে মোকাবেলা করতে শিশুদের প্রস্তুতি নিতে হবে।”

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২২ মার্চ থেকে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক উৎসব চলছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে।

২৮ মার্চ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব।