স্বস্তি ফিরেছে হেলাল ও আনোয়ারের পরিবারে

লিবিয়ার আল গানি তেলক্ষেত্র থেকে অপহণের ১৮ দিন পর ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হাত থেকে ছাড়া পাওয়া দুই বাংলাদেশির পরিবারে স্বস্তি ফিরেছে।

জামালপুর প্রতিনিধিনোয়াখালী ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2015, 12:41 PM
Updated : 25 March 2015, 12:41 PM

মুক্তি পাওয়া আনোয়ার হোসেনের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গয়েছপুর গ্রামে। আর হেলাল উদ্দিনের বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ গজারিয়া গ্রামে।

মঙ্গলবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের মুক্তির খবর নিশ্চিত করার পর দুই পরিবারের সদস্যরা টেলিভিশনে সেই খবর পান।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ফোন করেও পরিবারের সদস্যদের এই আনন্দের খবর জানানো হয় বলে আনোয়ারের স্ত্রী মারুফা খাতুন মনি এবং হেলালের স্ত্রী আলেয়া বেগম জানান।

আইএস জঙ্গিরা গত ৯ মার্চ লিবিয়ার সিরাত শহরের দক্ষিণে আল গানি তেলক্ষেত্রে হামলা চালিয়ে দুই বাংলাদেশিসহ নয় কর্মীকে অপহরণ করে।

জিম্মি নয়জনের মধ্যে আনোয়ারও আছেন জানার পর থেকে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছিলেন তার বাবা মো. ইউনুছ মিয়া ও মা আফরোজা বেগম।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে টেলিভিশনে সন্তানের মুক্তি পাওয়ার খবর পেয়ে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান তারা।

আনোয়ারের স্ত্রী মারুফা খাতুন মনি এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকেন। মুক্তির পর বুধবার ভোররাত ৩টার দিকে টেলিফোনে আনোয়ার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।

মারুফা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আনোয়ার ভালো আছে। সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছে।”

এদিকে জামালপুরের হেলাল উদ্দিন আইএস জঙ্গিদের কাছ থেকে মুক্ত হয়েছেন বলে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে টেলিফোনে জানানো হলেও বুধবার দুপুর পর্যন্ত তার সঙ্গে কথা বলতে পারেননি স্ত্রী আলেয়া বেগম।

আলেয়া বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে দূতাবাস থেকে ফোন করে তার মুক্তির কথা আমাদের জানিয়েছে। বর্তমানে হেলাল একটি হাসপাতালে আছে।”

অবশ্য মুক্তি পাওয়ার আগেই মঙ্গলবার সকালে হেলাল তার স্ত্রীকে ফোন করে বলেছিলেন, দুই একদিনের মধ্যে তাদের মুক্তি দেওয়া হতে পারে বলে তিনি অপহরণকারীদের আলোচন করতে শুনেছেন। 

চার মিনিটের ওই কথোপকথনে হেলাল স্ত্রীকে জানান, অপহরণকারীরা দিনে একবার তাদের খাবার দিয়েছে। তবে তারা সুস্থ আছেন।

গত বছর ইরাক ও সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বড় একটি এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে খিলাফত কায়েমের ঘোষণা দেয় আইএস। সিরিয়া ও ইরাকে এই জঙ্গি দলটির হাতে নিহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।