সদর উপজেলার অরুণ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষক পিন্টু আচার্য্য, আবুল কাশেম ও গিয়াস উদ্দিনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বুধবার জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে সুধারাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকালে পাঠদান চলাকালে স্থানীয় বাজিগর বাড়ির একদল ‘বখাটে’ তরুণ বিদ্যালয়ের মাঠে ঘুড়ি ওড়াতে যায়।
এ সময় শিক্ষকরা তাদের বাধা দিলে সাগর, নাজল, লিয়া ও কালনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বিদ্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
তারা শিক্ষকদের কক্ষে ঢুকে পিন্টু আচার্য্য, আবুল কাশেম ও গিয়াস উদ্দিনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
প্র্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বুধবার দুপুরে জেলা শহর মাইজদীতে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে।
সমাবেশ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু নাছের অভিযোগ করেন, স্থানীয় বাজিগর বাড়ির সাগর, নাজল, লিয়া ও কালনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বিদালয়ে হামলা ভাংচুর ও শিক্ষকদেরকে পিটিয়ে আহত করে। তাদের নামে থানায় মামলা করা হলেও পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারনি।
সুধারাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভূপাল চন্দ্র দেবনাথ বাদী হয়ে বুধবার সকালে সাগর, নাজল, লিয়া ও কালকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও দেড়শ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয় বলেও জানান তিনি।