বুধবার স্বাধীনতা পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আসুন, সকলে মিলে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করি।”
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া, প্রয়াত কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী ও শহীদ মামুন মাহমুদ এবং সাহিত্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সংস্কৃতিতে চলচ্চিত্র অভিনেতা আব্দুর রাজ্জাক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে ড. মোহাম্মদ হোসেন মণ্ডল এবং সাংবাদিকতায় প্রয়াত সন্তোষ গুপ্তকে এ বছরের স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সহিংস আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “কারো বা কোনো গোষ্ঠীর জন্য আমাদের হেয় হতে হবে বা কারো করুণা ভিক্ষা করে চলতে হবে- এটা আমরা চাই না।”
সরকারের নেওয়া উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সবার সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সাথে একই সময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে- অনেকে এগিয়ে গেছে। কিন্তু একটা সময় আমরা পিছিয়েই গেছি। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপকের বক্তব্যের প্রসঙ্গ ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার শিক্ষক আনিসুজ্জামান স্যার ঠিকই বলেছেন। এমন এমন লোককে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, যারা স্বাধীনতা চায়নি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করত না, হানাদার বাহিনীর দোসর হয়ে অত্যাচার করত।”
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “এখন যাদের ৫০ বছর হয়ে গেছে, তাদের অনেকে সঠিক ইতিহাস জানতে পারে নাই।”
তার সরকার ‘দায়িত্ববোধ থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করে’-মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সাবলম্বী জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অংশ না নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “কেউ রাজনৈতিকভাবে ভুল করলে- তার খেসারত তো জনগণ দেবে না।
“আমরা অনেক ধৈর্য্য ধরেছি। আমরা আস্তে আস্তে পরিস্থিতির উত্তরণ করছি।মানুষের ওপর জুলুম অত্যাচার- এটা তো কাম্য নয়।”
“ধ্বংস নয়, উন্নয়ন চাই। জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড নয়, শান্তি চাই,” বলেন তিনি।