গত সপ্তাহে ওই হামলায় দগ্ধ মো. খোরশেদ আলম (৩০) বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মারা যান।
তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ সংকর পাল জানিয়েছেন।
দগ্ধ হওয়ার পর থেকেই ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন নিচ্ছিলেন খোরশেদ।
তার মৃত্যুতে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে।
গত বুধবার রাতে চাঁদপুরের চান্দ্রা চৌরাস্তা এলাকায় ট্রাকে পেট্রোল বোমা হামলার পর ওই দিনই চালক জাহাঙ্গীর মারা যান।
এরপর রোববার বিকালে ঢাকা মেডিকেলে মারা যান শহীদ খন্দকার নামে এক গরু ব্যবসায়ী, যার শরীরের ৮৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
ওই ঘটনায় শরীরের পঁচিশ শতাংশ পোড়া নিয়ে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন রুবেল নামে আরও একজন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি অবরোধের ডাক দেওয়ার পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।
নাশকতার এসব ঘটনায় অন্তত ১৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের অর্ধেকের বেশির মৃত্যু হয়েছে পেট্রোল বোমার আগুনে।