তারা হলেন, আওয়ামী লীগের পুরান ঢাকার বংশাল-কোতয়ালি শাখার নেতা আতাউল্লাহ এবং ধানমণ্ডি শাখার নেত্রী রুমি ইসলাম।
মঙ্গলবার ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ এজলাসে ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনারের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের সামনে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসাবে তাদের জবানবন্দি নেওয়া হয়।
পরে আগামী ৩০ এবং ৩১ মার্চ এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য তারিখ রাখা হয়।
এ ট্রাইবুনালের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সাক্ষ্যে তারা ওইদিনের হামলার বর্ণনার পাশাপাশি নিজেরা কোথায় কোথায় চিকিৎসা নিয়েছেন তার বিবরণ দেন।
এ মামলায় জামিনে থাকা খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডি’র জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সি আতিকুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার আদালতে হাজির ছিলেন।
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২৫ জন কারাগারে আছেন।
তবে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জন আসামি এখনো পলাতক।
এছাড়া এই মামলার আরেক আসামি জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় পর তার ফাঁসিও কার্যকর করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন।
এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক তিনটি এজাহার দায়ের করেন।