বাকৃবির প্রশাসনিক দায়িত্ব ছাড়লেন ভিসিবিরোধী ৪৯ শিক্ষক

ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ৪৯ জন শিক্ষক প্রসাশনের বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন।         

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2015, 12:08 PM
Updated : 24 March 2015, 12:08 PM

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুল খালেক জানান, মঙ্গলবার দুপুরে তারা একসঙ্গে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগীদের মধ্যে বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটর এবং কয়েকজন সহকারী প্রক্টরও রয়েছেন।   

নৈতিক স্খলনের অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল হকের পদত্যাগের দাবি করে আসছে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম’।

কয়েক দিন আগে উপাচার্যের সঙ্গে তৃতীয় শ্রেণির এক নারী কর্মচারীর কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ও বেশ কয়েকটি স্থিরচিত্র ক্যাম্পাসসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ নিয়ে গত রোববার থেকেই ক্যাম্পাসে উপাচার্যের পক্ষে ও বিপক্ষে কর্মসূচি হচ্ছে। উপাচার্যের পক্ষে রয়েছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা, বিপক্ষে রয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এনামুল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, অধ্যাপক রফিকুল হক উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন নিয়োগে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন একটি তদন্ত কমিটিও করেছে

উপাচার্য ‘বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে’ ফোরামের মানববন্ধন কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা চালান বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

এর আগে রোববার বেলা ১০টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ডের ব্যানারে উপাচার্যের পক্ষে মানববন্ধন করা হয়। উপাচার্যের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রে জড়িতদের’ বিচার দাবি করা হয় ওই মানববন্ধনে।

বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ওইদিনই গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে মানববন্ধন করেন শিক্ষকদের একাংশ।

ফোরামের সভাপতি এ কে এম শামসুদ্দীন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জমান, সদস্য এ কে এম জাকির হোসেন, আবু হাদী নূর আলী খান ওই কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল হক সেদিন নিজের বাসভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পাল্টা অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন, “কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করে পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না।”

যারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাদের ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।

প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে ৪৯ শিক্ষকের পদত্যাগের পর উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।