যশোরে দরপত্র নিয়ে বোমাবাজি

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি কাজের দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও বোমাবাজি হয়েছে। তবে, দরপত্র জমা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2015, 11:09 AM
Updated : 24 March 2015, 11:09 AM

মঙ্গলবার এ ঘটনার সময় যশোর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খালেদুর রহমান টিটোর বাড়িতেও বোমা হামলা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন বলেন, যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের একটি ছাত্রাবাস ও একটি ছাত্রীনিবাস তৈরির জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর দরপত্র আহ্বান করে।

প্রায় দশ কোটি টাকার এই কাজের দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য তিনটি সরকারি দপ্তরে টেন্ডার বাক্স খোলা হয়।

মঙ্গলবার বেলা ১টায় দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল বলে জানান তিনি।

দরপত্র জমা নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি বলেন, অফিসের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিছু ঘটে থাকলে তা বাইরে।

তবে, দরপত্র জমা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের পাশেই ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়। সকালে ষেখানে অবস্থান করছিলেন দলটির জেলা সম্পাদক জিল্লুর রহমান ভিটু।

জিল্লুর রহমান ভিটু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, খালেদুর রহমান টিটোর ছেলে মাশুক হাসান জয় ও হাবিব হাসান বাবু সকাল ১০টার দিকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে টেন্ডার ড্রপ করতে যান।

এ সময় ওই দপ্তরে অবস্থানরত অজ্ঞাত পরিচয় কিছু যুবক তাদের টেন্ডার ড্রপ করতে দেয়নি। এসময় দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে ভিটু জানান।

কোতোয়ালি থানার ওসি শিকদার আককাছ আলী জানান, যারা টেন্ডার জমা দিতে চেয়েছিল তারা সবাই জমা দিতে পেরেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাবিব হাসান বাবু প্রতমবার ফিরে এসে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে বেলা ১২টার দিকে ফের টেন্ডার ড্রপ করতে যান শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে। এ সময় সেখানে অবস্থানরত সন্ত্রাসীরা বাবুর উপর চড়াও হয়।

এ সময় দুপক্সের মধ্যে বোমাবাজি শুরু হয়।

এক পর্যায়ে খালেদুর রহমান টিটোর ছেলেরা পিছু হটে পাশে ষষ্ঠিতলাপাড়ায় চলে যান।

এ সময় খালেদুর রহমান টিটোর বাড়িতে অন্তত তিনটি বোমা মারা হয়, যার মধ্যে দুটি বোমা বাড়ির ভেতর গাড়ির গ্যারেজের কাছে বিস্ফোরিত হয়। অন্যটি বিস্ফোরিত হয় বাড়ির গেটে।

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের সিনিয়র এএসপি রেশমা শারমিন বলেন, “ভাই, আমি অন্য কাজে ব্যস্ত রয়েছি। ওই ঘটনা সম্বন্ধে কিছু জানি না।”

এ ব্যাপারে খালেদুর রহমান টিটোর অভিযোগ, সন্ত্রাসীরা ঠিকাদারদের টেন্ডার ড্রপ করতে দেবে না বলে জানতে পেরে তিনি সকালেই জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা কলেন। কিন্তু তারা গুরুত্ব দেননি।

“এরপর আমার দুই ছেলে টেন্ডার ড্রপ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে পড়ে। সন্ত্রাসীরা আমার ছোট ছেলে বাবুকে চাকু মেরেছে। আমার বাড়িতে বোমা হামলা করেছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “পুলিশই সবকিছু করাচ্ছে। কার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব। তারপরও মামলা করব। থানায় মামলা না নিলে কোর্টে যাব।”