বিএসএমএমইউতে নতুন উপাচার্য

আওয়ামী লীগ সমর্থক পেশাজীবীদের নেতা অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন।

তিনি বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্তের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।

প্যাথলজির অধ্যাপক কামরুল হাসান পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিবের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সহ-সভাপতি।

বিএসএমএমইউ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারই উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছেন কামরুল হাসান।

নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ প্রাণ গোপাল দত্ত বিএসএমএমইউর উপাচার্য পদে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। তার দ্বিতীয় মেয়াদের কার্যকাল সোমবার শেষ হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আগামী তিন বছরের জন্য ডা. কামরুলকে বিএসএমএমইউর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক কামরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চিকিৎসকদের বিষয়ে যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে, তার দূর করাই হবে তার লক্ষ্য।

“বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সর্বোত চেষ্টা চালাব আমি।”

উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় অধ্যাপক কামরুলকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিএমএ। আওয়ামী লীগ সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক ফোরামও তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

প্যাথলজিস্ট হিসেবে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে অধ্যাপক কামরুলের ২০টি প্রকাশনা থাকলেও চিকিৎসক মহলে তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন অধ্যাপক কামরুল। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিরও সাধারণ সম্পাদক তিনি।

মঙ্গলবার দায়িত্ব নেওয়ার আগে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে গিয়ে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দেন তিনি।

কামরুল হাসান ১৯৮২ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি নেওয়ার পর ১৯৮৪ সালে চিকিৎসক হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।

১৯৯১ সালে তৎকালীন পিজি হাসপাতালে যোগ দেন তিনি। পরে এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের একমাত্র চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়।

১৯৭১ সালে স্কুলে পড়াকালেই মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন টাঙ্গাইলের সন্তান কামরুল হাসান।

তার স্ত্রী ডা. মাসুদা বেগম বিএসএমএমইউর হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক। নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ অধ্যাপক কামরুলের বড় ভাই।