সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দেবপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার রহম সাত খুনের ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে তাকে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডল।
শুনানি শেষে বিচারক চাঁদনী রূপম সাত দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন বলে এ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কে এম ফজলুর রহমান জানান।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম গত বছরের ২৭ এপ্রিল অপহৃত হন। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়।
অন্যদিকে আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল একই থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে পালিয়ে ভারতে চলে যান নূর হোসেন। সেখানে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
তার অন্যতম সহযোগী রহম আলীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় ট্রাকস্ট্যান্ডে অবৈধভাবে মেলা পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। সাত খুনের পর ওই মেলার প্যান্ডেল জ্বালিয়ে দেয় জনতা।
রহম আলীর নামে একটি অস্ত্রের লাইসেন্সও ছিল, যা ৭ খুনের ঘটনার পর জেলা প্রশাসন বাতিল করে।
সাত খুনের ঘটনায় র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৯ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।