মান্নার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য কারাবন্দি মাহমুদুর রহমান মান্নার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2015, 06:42 AM
Updated : 24 March 2015, 10:16 AM

মান্নার সংগঠন নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম আতিক মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে আগারগাঁওয়ে ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

এরপর সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ কায়সার সাংবাদিকদের বলেন, “ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মাহমুদুর রহমান মান্নার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। আইনজীবীর মাধ্যমে এটা কারাগারে পাঠানোর পর বিধি মোতাবেক জমা দেওয়া হবে।”

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নার জয়ের আশা প্রকাশ করে সংগঠনের এই নেতা বলেন, “নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের বিজয় অবশ্যাম্ভাবী। আমাদের জনসমর্থন রয়েছে।”

ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মান্না রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন।

গত ৫ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অবরোধ ডাকার পর নাশকতায় ব্যাপক প্রাণহানির মধ্যে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য প্রধান দুই দলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যার অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন মান্না।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ‘মাইনাস টু ফর্মুলার’ সমর্থক হিসেবে পরিচিতি পেয়ে দলীয় পদ হারাতে হয় তাকে।

‘নাগরিক সমাজের’ প্রতিনিধিদের ওই উদ্যোগ নিয়ে আলোচনার মধ্যে মান্নার সঙ্গে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এবং অন্য এক ব্যক্তির টেলিফোন কথোপকথনের দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ হয়।

ফাঁস হওয়া টেলিফোন কথোপকথনে ঢাকার সাবেক মেয়র খোকার সঙ্গে আলাপচারিতায় সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদারে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলা নিয়ে মান্নাকে কথা বলতে শোনা যায়। আর চলমান পরিস্থিতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের বিষয়ে তাকে আগ্রহ প্রকাশ করতে শোনা যায় অন্য টেপে।

এরপর সেনা বিদ্রোহে উস্কানির মামলায় গ্রেপ্তার হন মান্না। ওই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে একই ঘটনায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায়ও তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

ছাত্রজীবনে বামপন্থি সংগঠনে যুক্ত মান্না ডাকসুতে দুই বার ভিপি নির্বাচিত হন। চাকসুতেও জিএস ছিলেন সাবেক এই ছাত্র নেতা।

গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

নাগরিক ঐক্যের নেতাদের আগে রিটার্নিং কর্মকর্তারা কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ সারাহ্ বেগম কবরীর পক্ষে মেয়র পদে মনোয়নপত্র তোলেন তার ব্যক্তিগত সহকারী শহীদুল ইসলাম।

পরে দুপুরে মেয়র পদে মনোয়নপত্র তোলেন এখলাস উদ্দিন মোল্লা, যিনি মিরপুর থেকে আওয়ামী লীগের সাংসদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার বড় ভাই।

গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা কামাল মজুমদারের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিএনপির এক সময়ের নেতা এখলাস। তবে নির্বাচন চলাকালে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছিলেন তিনি।