দেশের উত্তরের সাত জেলার ৪২ উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
সোমবার স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছে, যার আওতায় প্রথম দুই বার গর্ভকালীন সময়ে মোট চার বার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ২০০ টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।
এছাড়া শূন্য থেকে ২৪ মাস বয়সী দরিদ্র শিশুদের প্রতিমাসে একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর দেওয়া হবে নগদ ৫০০ টাকা করে। এর বেশি বয়সী পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের তিন মাসে একবার শরীর বৃদ্ধির পরীক্ষা করে নগদ ১০০০ টাকা দেওয়া হবে।
এছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা নারী ও মায়েরা প্রতিমাসে অনুষ্ঠিত শিশুপুষ্টি ও উন্নত শিক্ষা বিষয়ে কর্মশালায় অংশগ্রহণ করলে প্রতিবার ৫০০ টাকা করে পাবেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শিশু ও নারী মৃত্যুহার যেমন হ্রাস পাবে একই সাথে শিশু ও নারী পুষ্টিও নিশ্চিত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এই প্রকল্প মায়েদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়ে আগ্রহী করে তুলবে।
তিনি বলেন, “আমরা নিবিড় তদারকি করবো। পোস্টাল ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে তারা পোস্ট অফিস থেকে নগদ সহায়তার অর্থ তুলতে পারবেন।”
প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য ও অপুষ্টির হার বিবেচনায় গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, জামালপুর, শেরপুর ও ময়মনসিংহ- এই সাত জেলায় প্রার্থমিকভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় উপকার পাবেন অন্তত ছয় লাখ দরিদ্র নারী। আর প্রকল্প ব্যয়ের দুই হাজার ৩শ ৭৭ কোটি টাকা দেবে বিশ্ব ব্যাংক এবং ৩৭ কোটি টাকা দেবে সরকার।