স্বাধীনতা দিবসের দিন জাদুঘরটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জাতীয় জাদুঘরের কিপার জাহাঙ্গীর হোসেন।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, আগামী ২৫ মার্চ সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর সংবাদ সম্মেলনে এর বিস্তারিত তুলে ধরবেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়াদী উদ্যানে অবস্থিত স্বাধীনতা জাদুঘর ও প্লাজা প্রাঙ্গণে সাত দিনের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। ২৫ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সব অনুষ্ঠান চলবে।
১৯৯৬ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৬৭ একর এলাকায় এ স্বাধীনতা স্তম্ভ কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়। এরপর ১৯৯৮ সালে এর ভিত্তিস্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর এক বছর পর থেকে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হলেও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় যাওয়ার পর এই প্রকল্পটির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কমপ্লেক্সটিতে সুউচ্চ টাওয়ার, একটি ভূগর্ভস্থ জাদুঘর, দুই হাজার আসনের উন্মুক্ত মঞ্চ, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক ম্যুরাল, বৃত্তাকার জলাধার, ঝর্র্ণাধারা ইত্যাদি রাখার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু হয়।
জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, ১৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের চিত্রসহ প্রাচীন বাংলা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহাসিক নির্দশনসমূহ চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে স্বাধীনতা জাদুঘরে।
একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানে তৈরি করা হয়েছে স্বাধীনতা স্তম্ভ, যার তিন পাশে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম জলধারা।
জাদুঘরের ভেতরে রয়েছে অডিও ভিজিয়াল কক্ষ যেখানে স্বাধীনতার বিভিন্ন প্রামান্য চিত্র দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা।