বুধবারের মধ্যে ভোটকেন্দ্রগুলোর তালিকা চায় ইসি

ঢাকার ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশনের প্রায় পৌনে তিন হাজার ভোটকেন্দ্রের তালিকা বুধবারের মধ্যে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2015, 01:03 PM
Updated : 23 March 2015, 01:03 PM

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে রোববার নির্দেশনা পাঠান নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মাহফুজা আক্তার।

নির্দেশনায় ভোটকেন্দ্রের নাম, এলাকা ও ভোটার সংখ্যাসহ নির্বাচনী এলাকার সব ভোটকেন্দ্রের সম্ভাব্য তালিকার একটি সিডিও পাঠাতেও বলা হয়েছে।

এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উপ সচিব সামসুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোটকেন্দ্রগুলোর বিষয়ে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে সব ভোটকেন্দ্র গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।”

নির্বাচন কমিশনের এই কর্মকর্তা জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ভোটার সংখ্যা বিবেচনায় ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। প্রার্থীর বাড়ির কাছাকাছি ভোটকেন্দ্র রয়েছে কিনা তাও বিবেচনায় আনা হয়। ভোটে যাতে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে না পারে তা নিশ্চিত করেই কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়।

২৩ লাখের বেশি ভোটার নিয়ে গঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাধারণ ৩৬টি ও সংরক্ষিত ১২টি ওয়ার্ডের বিপরীতে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ৮৭টি।

১৮ লাখের বেশি ভোটারের ঢাকা দক্ষিণে সাধারণ ৫৭টি এবং সংরক্ষিত ১৯টি ওয়ার্ডের বিপরীতে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ৮৭৩টি।

এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৮ লাখের বেশি ভোটারের সাধারণ ৪১টি এবং সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডের বিপরীতে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ৭৫০টি।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ এপ্রিল একই সঙ্গে এই তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের জন্য ২৯ মার্চ পর‌্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারিত আছে। ১ ও ২ এপ্রিল এসব মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে প্রত্যাহারের শেষ সময় রাখা হয়েছে ৯ এপ্রিল।

সামসুল আলম জানান, ভোটকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় প্রার্থীদের ঋণখেলাপির তথ্য সরবরাহে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ঋণখেলাপিদের প্রার্থিতার অযোগ্যতার বিষয়ে নির্বাচনী আইনের ধারাগুলো তুলে ধরে চিঠিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো প্রয়োজনীয় তথ্যও সরবরাহ করবে।

মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন বা এর আগে ঋণখেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করতে বলেছে ইসি।

এছাড়া নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সহায়তার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞাকেও চিঠি দিয়েছে ইসি।

তিন সিটি করপোরেশনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার অর্ধলক্ষাধিক কর্মকর্তা নিয়োজিত হয়। সেক্ষেত্রে ভোটের দায়িত্বে সহায়তা ও বদলির বিষয়ে কমিশনের সম্মতিসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।

নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ বিধান আইন, ১৯৯১ অনুসারে নির্বাচনের দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারিরা চাকরির অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োজিত থাকবেন। ভোটের পরের ১৫ দিন পর‌্যন্ত তাদের বদলির বিষয়ে কমিশনের অনুমতি নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।