ভোটারপিছু ব্যয় সর্বোচ্চ ২ টাকা

ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের প্রার্থীরা প্রচার বাবদ ভোটারপিছু ব্যয় করতে পারবেন সর্বোচ্চ ২ টাকার মতো।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2015, 11:39 AM
Updated : 23 March 2015, 11:39 AM

তবে নির্বাচনী ব্যয়সীমা অনুযায়ী কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ৬ টাকার মতো ব্যয় করতে পারবেন।

ভোটার সংখ্যার অনুপাতে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারিত হয় বলে তাদের ব্যয়সীমার এমন হিসাবই দাঁড়িয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, ভোটার সংখ্যা অনুপাতে ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থীরা  ৫০ লাখ টাকা এবং ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

ঢাকা উত্তরে ২৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩১৩ জন ভোটারের বিপরীতে ৫০ লাখ ব্যয়ের সীমা থাকায় ভোটার প্রতি দুই টাকা ১৩ পয়সা করে খরচের সুযোগ থাকছে।

আর ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৩৬৩ জন ভোটারের বিপরীতে ঢাকা দক্ষিণে মেয়র প্রার্থীদের ভোটার প্রতি ১ টাকা ৬০ পয়সা এবং ১৮ লাখ ২২ হাজার ৮৯২ জন ভোটারের চট্টগ্রামে ১ টাকা ৬৫ পয়সা করে ব্যয়ের সুযোগ থাকছে।

কাউন্সিলর পদে ১৫ হাজার ভোটারের জন্য এক লাখ টাকা ও ৫০ হাজার ভোটারের ক্ষেত্রে ৬ লাখ টাকা ব্যয় করার সুযোগ রয়েছে।

প্রচার, পোস্টার ছাপানোসহ অন্যান্য ব্যয় এ খরচের মধ্যেই পড়বে। আচরণবিধি মেনে প্রচারণার নির্ধারিত সময়ে এই ব্যয় করা যাবে।

নির্বাচনী আইনে বলা হয়েছে, প্রার্থীরা একাধিক রঙের কিংবা নির্ধারিত আকারের চেয়ে বড় পোস্টার ছাপাতে পারবেন না। এ কাজে আমদানি করা কাগজ ব্যবহার করা যাবে না। ৪০০ বর্গফুটের চেয়ে বড় আকারের প্যান্ডেল, গেট বা তোরণ নির্মাণ চলবে না। জনসভা ছাড়া একসঙ্গে তিনটির বেশি মাইক ব্যবহার করা যাবে না। ভোটারদের আপ্যায়ন কিংবা গাড়িভাড়া, মিছিলে কোনো গাড়ি বা নৌযান ব্যবহার ও আলোকসজ্জা করা চলবে না।

প্রার্থীকে সব অর্থ খরচ করতে হবে এজেন্টের মাধ্যমে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে ব্যয়ের হিসাব কমিশনে দাখিল করতে হবে। কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটিতে ভোট হবে। এর আগে ২৯ মার্চ পর‌্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ রয়েছে।