বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন ৭ মার্চ দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2015, 03:15 AM
Updated : 7 March 2015, 03:26 AM

শনিবার সকালে ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়কের প্রতিকৃতিতে ফুল দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরাও ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সকাল ৭টায় শ্রদ্ধা জানানোর পর দলীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন আওয়ামী লীগ প্রধান হাসিনা।

সুদীর্ঘকালের আপসহীন আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের জনসমুদ্রে তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, “রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম- আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম- স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

তার এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। আর দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র লড়াইয়ের পথ ধরে আসে স্বাধীনতা।

দেশের ঐতিহাসিক দিবসটি পালনের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

সকালেই বঙ্গবন্ধু ভবন ও আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বিকাল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে হবে আওয়ামী লীগের জনসভা।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।

৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে বাঙালির ইতিহাসের এই গৌরবময় অধ্যায়টি স্মরণ করেছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এ জাতির প্রেরণার চিরন্তর উৎস হয়ে থাকবে।

“ঐতিহাসিক সেই ভাষণ এদেশের গণমানুষকে গভীরভাবে আন্দোলিত করে এবং তাদেরকে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে বিপুলভাবে উদ্বুদ্ধ করে।”

পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণে বাংলার গণমানুষের প্রাণের দাবি ধ্বনিত হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন,“এই ভাষণে বাঙালির প্রতি পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর হত্যা-নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র মূর্ত হয়ে উঠে। ওই ভাষণের পর গোটা জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত হয়।”

একাত্তরের মতোই আরও একবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে বর্তমান সরকারের ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।