জেনেভায় ‘মানবাধিকার ও জলবায়ু পরিবর্তন’ বিষয়ক একটি সভায় বৃহস্পতিবার দেওয়া বক্তব্যে জলবায়ু নিয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে ‘ইতিবাচক মনোভাব’ নিয়ে এগোনোর ওপর জোর দেন তিনি।
কোস্টারিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) আয়োজিত ওই সভা হয়।
ফোরামের সদস্যদের অভিন্ন লক্ষ্য সামনে রেখে সিভিএফের কর্মকাণ্ড আরো বিস্তৃত করার ওপরও জোর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সভার ফাঁকে জাতিসংঘ মহাসচিবের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ম্যারি রবিনসন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে ‘নেতৃত্বশীল ভূমিকার’ জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে জাতীয় প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে ‘পর্যাপ্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতার’ ওপর গুরুত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী।
মন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করে চলতি বছরের জলবায়ু সম্মেলনে এ বিষয়ে ‘কার্যকর’ কিছু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রবিনসন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গে রাইডারের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি এদিন জেনেভায় গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ'- সার্নের দপ্তর পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও শ্রমিক অধিকার ও কারখানার নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়নে বাংলাদেশের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন আইএলও মহাসচিব।
সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের সীমান্তে অবস্থিত সার্নের দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সংস্থার মহাপরিচালক রোলফ হুয়ের।
গত বছর সার্নের সঙ্গে একটি সহযোগিতা চুক্তি করে বাংলাদেশ। এর আওতায় বাংলাদেশের ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষকরা লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সার্নের মহাপরিচালক।
জেনেভায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এম শামীম আহসান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. মুস্তাফিজুর রহমান এসব বৈঠকে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।