এ বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রায়ের এই দিন ঠিক করে দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন স্থগিতাদেশের কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকা এ মামলা সচলের উদ্যোগ নিরে গত মঙ্গলবার রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়।
বুধবার বিরতি দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রায় দুই ঘণ্টা নিজের যুক্তি তুলে ধরেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
তিনি বলেন, এ মামলায় অপরাধের যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তাই এ পর্যায়ে মামলাটি বাতিল করা ঠিক হবে না।
খালেদার পক্ষে কোনো আইনজীবী চূড়ান্ত শুনানিতে অংশ নেননি। জুনিয়র একজন আইনজীবী সময়ের আবেদন করলেও আদালত তা গ্রহণ করেনি।
সাবেক চার দলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, ১০ মন্ত্রীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবাধয়ক সরকারের সময় এই মামলা করা হয়।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা হওয়ার পর ৫ অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর খালেদার বিরুদ্ধে এ মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাই কোর্ট। মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দেওয়া হয়।
হাই কোর্টের ওই আদেশ আপিলেও তা বহাল থাকে। ফলে আটকে যায় খনি দুর্নীতি মামলা।
২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি এ মামলা থেকে স্থায়ী জামিন পান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
খুরশীদ আলম খান জানান, এ মামলা বাতিলে অপর দুই আসামি জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজাম ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ দুটি আবেদন করেছিলেন, যা আগেই খারিজ হয়ে গেছে।
জরুরি অবস্থার সময়ে খালেদার বিরুদ্ধে দায়ের করা গ্যাটকো ও নাইকো দুর্নীতি মামলাও সম্প্রতি সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে দুদক।