বুধবার জেনেভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে এক বৈঠকে হাই কমিশনার এ বিষয়ে আলোচনা করেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মানবাধিকার নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা করতে গিয়ে বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথাও আসে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারকে বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট যে ‘নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ চালাচ্ছে তার কিছু কিছু আইএসসহ জঙ্গি দলগুলোর সন্ত্রাসী কৌশলের সঙ্গে ‘প্রায় মিলে যায়’।
গত দুই মাস ধরে বিএনপি জোটের অবরোধ-হরতালে শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে, যার বেশিরভাগই মারা গেছেন যানবাহনে দেওয়া আগুন ও পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে।
বৈঠকে মন্ত্রী সহিংসতা দমন করে দেশের সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে সরকারের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন।
অন্যদিকে জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয়ের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদানের ওপর জোর দেন জাইদ রাদ আল হুসেন।
মাহমুদ আলী হাই কমিশনারকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তা গ্রহণ করেন বলেও মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানোনো হয়।
মন্ত্রী তাকে বলেন, মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের বাণী বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ আগের মতোই কাজ করে যাবে।
চারদিনের সফরে গত মঙ্গলবার জেনেভায় পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। বুধবার তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন।
এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জরুরি তহবিলের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লাখ ডলার অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।