এফবিআইয়ের চার সদস্যের এ দলটি বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে বলে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এফবিআই সদস্যরা বুধবার রাতে ঢাকা পৌঁছান। অভিজিতের ওপর হামলাস্থল থেকে সংগৃহীত আলামত এবং এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে তাদের জানানো হয়েছে।”
তবে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নাম ও পদবী সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি হননি গোয়েন্দা কর্মকর্তা মনিরুল।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অভিজিৎ বইমেলা চলার মাঝামাঝি দেশে এসে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। হামলায় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছেন তিনি।
সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী লেখক অভিজিৎ হত্যার তীব্র নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তারা এ হত্যাকাণ্ড তদন্তে সহায়তার প্রস্তাব দিলে তাতে সায় দেয় বাংলাদেশ সরকার।
এর আগে একুশ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা তদন্তে সহায়তার জন্য ঢাকা এসেছিলেন এফবিআই সদস্যরা।
গত মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন,“আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আমাদের দুই দেশের শক্তিশালী ও দীর্ঘদিনের সহযোগিতামূলক সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় এই তদন্তে আমাদের সহযোগিতা।”
মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎকে জঙ্গিবাদীরা হুমকি দিয়ে আসছিল বলে তার পরিবার থেকে জানানো হয়েছে। জঙ্গিবাদীরাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিজিতের বাবা।
হত্যায় জড়িত সন্দেহে উগ্রপন্থী ব্লগার ফারাবী শফিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার বিরুদ্ধে অভিজিৎকে হত্যার হুমকির অভিযোগ রয়েছে।