বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে যুব মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করার জন্য ঘষেটি বেগম যে ষড়যন্ত্র করেছিলেন, ঠিক একই কায়দায় বাংলাদেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে আছেন খালেদা জিয়া।
“সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করার জন্য ঘষেটি বেগম মীর জাফরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন; আর খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।”
আলোচনা সভায় আগাম নির্বাচনের দাবিতে ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপির লাগাতার হরতাল অবরোধের সমালোচনা করেন নৌমন্ত্রী।
বিএনপি জোট দুই মাস ধরে সারাদেশে লাগাতার অবরোধ পালন করে আসছে; সঙ্গে চলছে হরতালও। এ সময়ের মধ্যে সারাদেশে প্রায় ১৩শ গাড়ি আগুন ও ভাঙচুরের শিকার হয়।
সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ১১৪ জন, যার মধ্যে ৬১ জন পেট্রোল বোমা হামলা ও আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাটসহ কয়েকজন রাষ্ট্রদূত বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে এক বৈঠকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান।
এর আগে সরকারের পক্ষ থেকেও একাধিকবার বিএনপিকে হরতাল অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
শাজাহান খান বলেন, “খালেদা জিয়ার আন্দোলন কোন রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। এটি গরিব মানুষের বিরুদ্ধে আন্দোলন, গরিব মানুষকে ধ্বংস করার আন্দোলন, সন্ত্রাসী আন্দোলন। দুনিয়ার কোন সন্ত্রাসী জয়লাভ করতে পারেনি, তিনিও পারবেন না।”
অনুষ্ঠানে আট জন নারী মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননাসূচক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
তারা হলেন সালেহা বেগম, লাইলী বেগম, নাজমা বেগম, তাহমিনা বেগম, মোমেনা বেগম, কাঞ্চন বালা, কমলা বেগম ও আশালতা বৈদ্য।
মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের সিনিয়র সহ সভাপতি কাউসারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনের নেতা নজরুল ইসলাম বাচ্চু, মোহাম্মদ জামান প্রমুখ।