বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনী এলাকা ও তার বাবার আদি নিবাস ফেনী নিয়ে এই ‘সমস্যার’ কথা বুধবার সংসদে তুলে ধরেন তিনি।
“ফেনী থেকে এমন এক জঙ্গি নেত্রীর উত্থান ঘটেছে যে ফেনীকে কেউ নিতে চায় না। ফেনীকে নিয়ে একটু সমস্যায় পড়ে গেছি। কিন্তু ফেনীবাসীর তো কোনো দোষ নেই।”
এক বছর আগে শেখ হাসিনার জেলা নিয়ে এক মন্তব্যে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, গোপালগঞ্জ জেলার নামই বদলে যাবে, গোপালগঞ্জ আর থাকবে না।
২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর নিজের বাসা থেকে বের হতে পুলিশের বাধায় ক্রুদ্ধ বিএনপি চেয়ারপারসনের ওই মন্তব্য ঘিরে বেশ কয়েকদিন আলোচনা চলছিল।
তার বছর গড়ানোর পর বুধবার সংসদে প্রশাসন বিকেন্দ্রিকরণের বিষয়ে কয়েকটি নতুন বিভাগ গঠনের প্রসঙ্গ ধরে ফেনী নিয়ে মন্তব্য এল আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর।
খালেদা জিয়ার বাবা এস্কান্দার মজুমদারের বাড়ি ফেনী হলেও তিনি দিনাজপুরে ঠিকানা নিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার বেড়ে ওঠাও সেখানে।
তবে সংসদ নির্বাচনে বরাবরই বাবার আদি বাড়ি ফেনী-১ আসনে (ফুলগাজী-পরশুরাম-ছাগলনাইয়া) খালেদা জিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন। একাধিক আসনে জয়ী হওয়ার পর তিনি ছেড়ে দিলে ওই আসনে তার ভাই প্রয়াত সাঈদ এস্কেন্দারকে সংসদ সদস্য ছিলেন।
সংসদে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ জানতে চেয়েছিলেন, গোপালগঞ্জকে বিভাগ করা হবে কি না?
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোপালগঞ্জকে বিভাগ করার বিষয়টি অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তবে বৃহত্তর ফরিদপুর, বৃহত্তর ময়মনসিংহ এবং বৃহত্তর কুমিল্লা- এই তিনটি বিভাগ করা হবে।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফেনীর বিষয়ে আলোচনায় যেতে হবে। ফেনী আমরা কোন দিকে দেব? ফেনী চট্টগ্রামে দেব, নাকি কুমিল্লায় দেব আমরা? সেটা বিবেচনা করতে হবে।”
এসময় পাশ থেকে চট্টগ্রামের একজন সংসদ সদস্য মাথা নেড়ে ফেনীকে চট্টগ্রাম বিভাগে রাখার বিষয়ে তার অমতের ইঙ্গিত দেন।
তখন শেখ হাসিনা বলেন, “মাননীয় স্পিকার, চট্টগ্রামবাসী ফেনীকে নেবে না। তাহলে কুমিল্লাবাসী নেবে?”
তবে ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনা করে কুমিল্লার সঙ্গেই ফেনীকে রাখার বিষয়ে নিজের মত দেন প্রধানমন্ত্রী।