বাংলাদেশে ইরানের নতুন রাষ্ট্রদূত আব্বাস ভাইজি দেহনাভি বুধবার দেখা করতে গেলে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অল মুসলিম উম্মাহর এক থাকা উচিৎ এবং মুসলিম উম্মাহর মধ্যে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব, ডিসইউনিটি থাকা উচিৎ না।
“কারণ মুসলিম কান্ট্রিগুলো, এই মুসলিম উম্মাহ অনেক ক্ষেত্রেই ধনী। একারণেই তারা নিজেরা নিজেদেরকে উন্নত করতে পারে অন্যের সাহায্য ছাড়াই।”
প্রধানমন্ত্রী ইরানের রাষ্ট্রদূতের কাছে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগের উপযোগী চিত্র তুলে ধরেন। চলমান উন্নয়ন ও বিনিয়োগে ইরানের সরকার ও বিনিয়োগকারীদের সহায়তাও প্রত্যাশা করেন তিনি।
বাংলাদেশকে থেকে আরও পণ্য নিতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, “ইরানও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চায়, বিশেষ করে ব্যবসা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে।”
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতি ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন ইরানি রাষ্ট্রদুত।
এসময় প্রধানমন্ত্রীকে ইরান সফরের জন্য তার দেশের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন আব্বাস ভাইজি। প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বলেছেন, সুবিধামতো সময়ে তিনি ইরান সফর করবেন।
প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি এবং রাষ্ট্রপতি হাসান রোহানিকে শুভেচ্ছা জানান।