খালেদার অনুপস্থিতিতে পরোয়ানা প্রত্যাহারের শুনানি

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই তাকে গ্রেপ্তারে জারি করা পরোয়ানা প্রত্যাহারসহ কয়েকটি আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2015, 05:48 AM
Updated : 4 March 2015, 08:25 AM

ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত আদালতের বিশেষ এজলাসে ওঠেন।
 
খালেদার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার, আদেশ সংশোধন, জামিন বহাল ও সাক্ষ্য পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
 
বিএনপি চেয়ারপারসন ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ আদালতে আসতে পারছেন না বলে তার অনুপস্থিতির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন খালেদার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
 
বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে উচ্চ আদালতে আবেদনের কথা ‍তুলে ধরে তিনি বলেন, “এটা মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে, যা বিচারকের অর্ডারে রিফ্লেক্ট হচ্ছে। আমরা আপনার ওপর অনাস্থা জানিয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছি, যা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।”
 
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরেও খালেদার আদালতে না যাওয়ার কথা তুলে ধরে দুদকের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বিচারক বলেন, “উনি আদালতে আসেননি। উনার আইজীবীদের এসব পিটিশন করার এখতিয়ার আছে?”
 
জবাবে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, “খালেদা জিয়া আদালতে না আসায় তাদের এসব আবেদন করার কোনো এখতিয়ার নেই।”
 
এ সময় উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনার পর আবার শুনানি শুরু হয়।
 

৫ জানুয়ারি কার্যালয় থেকে বের হতে বাধার মুখে খালেদা জিয়া

টানা কয়েকটি ধার্য তারিখে হাজির না হওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এ আদালত।

ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অগ্রগতি সম্পর্কে বুধবার আদালতকে জানানোর কথা রয়েছে।
 
এদিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও এদিন আদালতে যাবেন কি না সে বিষয়ে খালেদা জিয়া এখনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে তার প্রেস সচিব জানিয়েছেন।
 
খালেদা জিয়া এই দুই মামলায় সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর হাজিরা দিয়েছিলেন এই আদালতে।
 
আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর বিএনপি চেয়ারপারসনকে আদালতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
 
তবে গত ৩ জানুয়ারি পুলিশের বাধায় আটকে পড়ার পর এক মুহূর্তের জন্যও গুলশানের ওই কার্যালয় থেকে বের হননি খালেদা।