খালেদা উঠেছেন, আইনজীবীদের ‘সঙ্কেতের’ অপেক্ষায় 

দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর শুনানির নির্ধারিত দিন আদালতে যাবেন কি না সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2015, 04:25 AM
Updated : 4 March 2015, 10:55 AM

সকালে ঘুম থেকে উঠলেও আদালতে যাবেন কি না সে সিদ্ধান্ত নিতে খালেদা জিয়া তার আইনজীবীদের পরামর্শের অপেক্ষায় আছেন বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।  

খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানরত তার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান বুধবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনজীবীরা বিষয়টি দেখছেন, তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বেগম জিয়া কী করবেন তা ঠিক হবে।”

সকাল সাড়ে ৮টায় খালেদা জিয়া ঘুম থেকে ওঠেন বলে ওই কার্যালয় থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সুমন মাহমুদ জানিয়েছেন।

এদিকে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হলো কি না সে বিষয়ে এদিন আদালতকে জানানোর কথা থাকলেও বিএনপি নেত্রীর গুলশানের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি তৎপরতা দেখা যায়নি।

টানা কয়েকটি ধার্য তারিখে হাজির না হওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার। ওই পরোয়ানা সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার কথা এদিন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা ছাড়াও মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা হয়।

জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের দায়ের করা এ দুটি মামলার বিচার চলছে ঢাকার বকশিবাজার এলাকার আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালত ভবনে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারসহ দুটি আবেদনের আজ শুনানি হবে। এসব আবেদনের নিষ্পত্তির আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালত যাচ্ছেন না-এটা এক রকম বলা যায়।”

দুই মাস ধরে কার্যালয়ে অবস্থানরত খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর তাকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছে কয়েক দিন ধরে। এর মধ্যে হরতাল-অবরোধে নাশকতার একটি মামলায় তার কার্যালয় তল্লাশির অনুমতিও পেয়েছে পুলিশ।

সকালে খালেদার কার্যালযের ফটকের সামনে সাদা পোশাকে পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্যদের দেখা গেছে। ফটকের সামনে ও ভেতরে দুটি গাড়ি আড়াআড়িভাবে রাখা হয়েছে।

খালেদা জিয়া এই দুই মামলায় সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর হাজিরা দিয়েছিলেন। সেদিন তার হাজিরাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ব্যাপক হট্টগোল হয়েছিল। বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাতের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের ওপর হামলা হয়েছিল সেদিন।

এদিকে বুধবারই গুলশান কার্যালয়ে সদ্য প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর চেহলামের আয়োজন করেছেন খালেদা জিয়া। বেলা ১১টায় তা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিকালে বাদ আসর দোয়া হওয়ার কথা।

মুদ্রাপাচার মামলায় সাজা নিয়ে কয়েক বছর ধরে দেশের বাইরে থাকা কোকো গত ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে মারা যান।