মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় এই ধাওয়ার কেউ হতাহত না হলেও ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহ গ্রুপ হিসেবে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সমর্থকরা চাপাতি, রামদা, হকিস্টিক ও লাঠিসোটাসহ গোপালগঞ্জ গ্রুপ হিসেবে পরিচিত সভাপতি শরিফুল ইসলামের সমর্থকদের ধাওয়া দেয়।
ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালানোর পর সভাপতি সমর্থক কর্মীরা পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে অবস্থান নিয়েছে এমন খবর পেয়ে সেখানেও মহড়া দেয় সাধারণ সম্পাদক সমর্থকরা।
এতে বাংলাবাজার, লক্ষ্মীবাজার ও ইসলামপুর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দোকানপাঠ বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুন-উর-রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীরসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর সামনে সভাপতি শরিফুল ইসলাম কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গালিগালাজ করে। এছাড়া আমাদের এক কর্মীকে অমানবিক র্যাগ দেয়।
“এর জের ধরেই ছাত্রলীগকর্মীরা সভাপতির কর্মীদের ধাওয়া দেয়। কারণ ছাত্রলীগে কোনো বেয়াদবের স্থান নেই।”
এবিষয়ে সভাপতি শরীফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যারা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় নেতাদের গালিগালাজ করার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের গালিগালাজ করে এমন স্পর্ধা কারো নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে মনোমালিন্যের ঘটনা ঘটেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
“ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।”
রোববার ক্যাম্পাসের নতুন ভবনের নিচে ব্যবস্থাপনা বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সাধারণ সম্পাদক সমর্থক হিসেবে পরিচিত পিয়াসকে র্যাগ দেয় সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা।
এ নিয়ে সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীদের মনোমালিন্য হয়।