ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় তিনশ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। প্রতিদিন শত শত গবাদি পশু এদেশে আসছে বিভিন্ন পথ দিয়ে। এছাড়া ভুরুঙ্গামারীর ‘সোনাহাট’ ও রৌমারীর ‘চর নতুন বন্দর’ স্থলবন্দর দিয়ে আসছে মানুষ ও বিভিন্ন মালামাল।
তাই সোয়াইন ফ্লু মনিটরিংয়ে এ জেলায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. জয়নাল আবেদীন জিল্লুর জানান, আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। জেলায় সোয়াইন ফ্লুর কোনো সন্ধান মেলেনি। তারপরও স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
জেলা, উপজেলা হাসপাতাল ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সোয়াইন ফ্লু সনাক্তে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভুরুঙ্গামারীর ‘সোনাহাট’ ও রৌমারীর ‘চর নতুন বন্দর’ স্থলবন্দর দিয়ে মানুষ ও মালামাল আসায় এ দুস্থানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় হাঁচি, কাশি, জ্বর-সর্দি হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাসরিন বেগম জানান, চার সদস্যের টিম সোনাহাট স্থলবন্দরে মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করেছে। মালামাল পরিবহনের চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ভারত থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০০/২৫০টি ট্রাক বাংলাদশে ঢুকছে এ স্থল বন্দরে। তাদের জিরো পয়েন্টে পরীক্ষা করা হয় বলে জানান তিনি।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহজাহান কবির জানান, মেডিকেল টিম মনিটরিং করছে। ‘চর নতুন বন্দর’ দিয়ে মানুষ যাতায়াত করে। এছাড়া দাদভাঙ্গা ও সাহেবের আলগা সীমান্ত দিয়ে আসে গবাদি পশু।
এসব এলাকায় বিশেষ সতর্কতা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।