বিসিএস প্রিলিমিনারিতে ক্যালকুলেটর নিষিদ্ধ

বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহারও নিষিদ্ধ করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি); যা ৩৫তম বিসিএস থেকেই কার্যকর হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2015, 12:33 PM
Updated : 3 March 2015, 12:33 PM

কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছার উদ্দিন মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা, না করা নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ম্যাসাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তাই সব বিসিএসের প্রিলিমিরারিতে যে কোনো ধরনের ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”

এর আগে বিসিএসের প্রিলিমিনারি এবং লিখিত উভয় পরীক্ষায়ই সাধারণ ক্যালকুলেটর (সায়েন্টিফিক নয়) ব্যবহারের সুযোগ পেতেন প্রখম শ্রেণির সরকারি চাকরিপ্রার্থীরা।

তবে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীরা সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সুযোগ পাবেন বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

বিসিএস পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “জামার বোতাম, শার্টের কলারসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষার্থীরা গোপন ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ে আসে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে।”

আগামী ৬ মার্চ বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ৩৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে। মঙ্গলবার কমিশনের ওয়েবসাইটে এই পরীক্ষার আসন বিন্যাসও প্রকাশ করা হয়েছে।

নেছার বলেন, “প্রিলিমিনারিতে অনেক প্রার্থী থাকে। আর পরীক্ষাও হয় অল্প সময়ে। ফলে তাদের নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যায়।

“চার ঘণ্টা ধরে লিখিত পরীক্ষা হওয়ায় প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ ও তাদের তদারকি করা অনেক সহজ হয়। ফলে লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে দেওয়া হবে।”

এবারও পরীক্ষার হলে বই, ব্যাগ, মোবাইল ফোন, ঘড়িসদৃশ মোবাইল বা কোনো প্রকার ধরনের ইলেকট্রনিক যোগাযোগযন্ত্র নেওয়া যাবে না বলে জানান নেছার।

“পরীক্ষার হলে কারও কাছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া গেলে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। ভবিষ্যতে কমিশনের সব ধরনের পরীক্ষায় অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।”

এছাড়া কমিশনের নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে জানিয়ে নেছার বলেন, কেন্দ্র পরিদর্শকরা প্রয়োজনে প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন।

৩৫তম বিসিএসে অংশ নিতে ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন, যা বিসিএসের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

এর আগে ৩৪তম বিসিএসে ২ লাখ ২১ হাজার ৫৭৫ জন আবেদন করেছিলেন। সেই হিসাবে গত বিসিএস থেকে ৩৫তম বিসিএসে ২২ হাজার ৫৩২ জন বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন।

এর আগের বিসিএসের প্রিলিমিনারি একশ নম্বরের এক ঘণ্টায় পরীক্ষা হতো। ৩৫তম বিসিএস থেকে দুইশ নম্বরের দুই ঘণ্টার প্রিলিমিনারিতে বসতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য থাকবে এক নম্বর। তবে ভুল উত্তরের জন্যে শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা হবে।

৩৫তম বিসিএসে অংশ নিতে ঢাকা কেন্দ্রের অধীনে এক লাখ ৫৫ হাজার ২৪৪ জন, রাজশাহী কেন্দ্রে ২১ হাজার ৮৭৩ জন এবং চট্টগ্রামে ২০ হাজার ৪৬৯ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন।

এছাড়া খুলনা কেন্দ্রে ১৪ হাজার ৭৮ জন, বরিশালে পাঁচ হাজার ৭২৯ জন, সিলেটে নয় হাজার ৮৫৮ জন এবং রংপুর কেন্দ্রের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ১৬ হাজার ৮৫৬ জন।