বিদ্যালয়ের ১৭৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য খেলার মাঠ কিংবা শৌচাগারও নেই।
১৯৯৫ সালে রাখালগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য একটি টিনশেড ছোট ভবন নির্মাণ করা হয়।
কিন্তু ইতোমধ্যে ভবনটির দেয়াল, পিলার, দরজা, জানালাসহ টিনের চাল সবই প্রায় ধসে গেছে।
চরযশোরদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অহিদুল বারী বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন না থাকায় বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল, ব্ল্যাকবোর্ডসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বাধ্য হয়ে উন্মুক্ত জায়গায় রাখতে হচ্ছে।
বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক হাবিববুর রহমান বলেন, প্রচণ্ড রোদে ক্লাস করে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বৃষ্টির দিনে ক্লাস হলে আরও দুর্ভোগ পোহাতে হবে ছেলেমেয়েদের।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন সুলতানা বলেন, ভবন ধসে যাওয়ায় বাইরে ক্লাস নিতে হচ্ছে। এছাড়া খেলার মাঠ ও শৌচাগার না থাকায় ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
শিশুদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিশেষ বিবেচনায় ও অগ্রাধিকারভিত্তিতে একটি ভবন দ্রুত নির্মাণ করা জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, “রাখালগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি ভবন নির্মাণ করা খুবই জরুরি। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করেছি। আশা করছি চলতি অর্থ বছরেই এর সমাধান হবে।”