ব্যুরোর মহাব্যবস্থাপক বেগম শামসুন নাহার সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ১১ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন চলবে ঢাকা বিভাগে।
এরপর ১২ থেকে ১৬ মার্চ রাজশাহী ও রংপুর, ১৭ থেকে ২৩ মার্চ চট্রগ্রাম ও সিলেট এবং ২৪ থেকে ২৮ মার্চ খুলনা ও বরিশাল বিভাগে নিবন্ধন হবে।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলবে বলে জানান শামসুন নাহার।
তিনি বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, সিটি কর্পোরেশনের নগর ডিজিটাল সেন্টার, পৌরসভা ডিজিটাল সেন্টার, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয় থেকে নিবন্ধন করা যাবে।
নিবন্ধনের জন্য সরকারি ফি ২০০ টাকা ও ফরম পুরণে সহায়তার জন্য উদ্যোক্তাকে দিতে হবে ১০০ টাকা।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “নারী পুরুষ একত্রে নিবন্ধন করায় বাছাই প্রক্রিয়াতে আমাদের কিছু সমস্যা হচ্ছে। এর জন্য নারীদের জন্য আলাদা করে বিশেষ করে গৃহকর্মী হিসেবে যারা যেতে চান, তাদের আলাদা নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।”
নিবন্ধিতদের মধ্যে যারা চূড়ান্তভাবে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হবেন, তাদের প্রত্যেককে ছয় সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব, যা এ বছর তুলে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ থেকে প্রাথমিকভাবে মোট ১২টি কাজের জন্য শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি একটি চুক্তি করে সৌদি আরব। গৃহস্থালি কাজের জন্য শুধু নারী শ্রমিক নেবে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটি।
এরপরেই নারী শ্রমিকদের জন্য আলাদা ডেটাবেইস তৈরি করার কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল।
সরকারি হিসাবে বর্তমানে ১২ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। এই হিসাবে সৌদি আরবই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার।