সোমবার গাজীপুরের পূবাইল থেকে মামুন ভূঁইয়া ও রুপগঞ্জের যাত্রামুড়া থেকে জহিরুল ইসলাম নামের এ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করেন পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
এসপি মহিদ উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত শ্রুক্রবার রাতে ট্রাকে পেট্রোল বোমা মারার ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের সনাক্ত করা হয়।
তার ভিত্তিতে সোমবার ভোরে পুলিশ গাজীপুর জেলার পূর্বাইল থেকে মামুন ভূঁইয়া ও রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া থেকে জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
মামুন রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিনের ছোট ভাই। মতিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাকে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে পুলিশ জানান এসপি।
তিনি আরও বলেন, মামুনকে তারাবো পৌরসভার ছাত্রদলের ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতির পদ দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। এ কারণে উপজেলা ছাত্রদলের এক নেতার পরিকল্পনায় তিনি এই নাশকতা ঘটান বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
এসপি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা পুলিশকে জানিয়েছে যে, তারা ৫টি ধাপে ৩/৪ জন মিলে এই নাশকতার চালিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে নাশকতার পরিকল্পনাকারী, সহায়তাকারী, বাস্তবায়নকারী ও অর্থায়নকারী বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।
সেগুলো যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. জাকারিয়া, সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. বদরুল প্রমুখ।
গত শুক্রবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রূপগঞ্জ উপজেলার যাত্রামুড়া এলাকায় মালবাহী ট্রাকে বেশ কয়েকটি পেট্রোল বোমা হামলায় ছয জন অগ্নিদগ্ধ হয়। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। দগ্ধ ৫ জন এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।