১৯৯৫ সালের ব্যাটালিয়ন আনসার আইন সংশোধনের খসড়া সোমবার মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হলে বিদ্রোহের শাস্তির বিষয়টি এতে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রিসভা দুটি অনুশাসন দিয়ে সংশোধিত আইনটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
একটি অনুশাসন হচ্ছে বিদ্রোহের জন্য শাস্তির বিধান যুক্ত করা, যা উত্থাপিত খসড়ায় ছিল না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “বিজিবি আইনে সংশ্লিষ্ট ধারায় বিদ্রোহের জন্য যে শাস্তির বিধান রয়েছে, তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এখানে যুক্ত করতে হবে, যাতে এ আইন অসম্পূর্ণতা না থাকে।”
২০০৯ সালে পিলখানায় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর রক্তাক্ত বিদ্রোহের পর আইন সংশোধন করে এর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান যোগ করা হয়।
আনসার বাহিনীতে ১৯৯৪ সালে একবার বিদ্রোহ হয়েছিল। সেনা সহায়তায় তখন ওই বিদ্রোহ দমন করা হয়, যাতে কয়েকজন হতাহত হয়ছিল।
আনসার বাহিনীর সদস্য দুই ধরনের- ব্যাটালিয়ন আনসার ও অঙ্গীভূত আনসার। অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা ৯ বছর চাকরি করলে স্থায়ী হওয়ার একটি সুযোগ পান।
ওই সময়সীমা ৬ বছর করার অনুশাসনও মন্ত্রিসভা দিয়েছে বলে মোশাররাফ হোসাইন জানান।
প্রস্তাবিত আইনে ব্যাটালিয়ন আনসারদের শৃঙ্খলাভঙ্গে বাধ্যতামূলক অবসরসহ আরও কয়েকটি শাস্তির বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
ব্যাটালিয়ন আনসারের কোনো সদস্য অপরাধ করলে কী কী শাস্তি দেওয়া যাবে, সেগুলোর ক্ষেত্রে কিছু তালিকা ছিল। সংশোধিত আইনে শাস্তি সুনির্দিষ্ট করার পাশাপাশি নতুন কিছু যোগ করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এখানে সর্বোচ্চ শাস্তি বরখাস্ত করা এবং দ্বিতীয়টা হল অপসারণ। বাধ্যতামূলক অবসরের বিধানে ছিল না এবং আরও কয়েকটি মধ্যম ধরনের শাস্তি ছিল না, যা এই সংশোধিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছ।”
সংশোধিত আইনে বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনতি, পদোন্নতি স্থগিত, বেতন বৃদ্ধি স্থগিত, অবহেলার কারণে আর্থিক ক্ষতি হলে আনুতোষিক থেকে কেটে নেওয়ার বিধান যুক্ত হচ্ছে।
“সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলাভঙ্গে যে যে শাস্তি দেওয়া যায়, তার সব কিছু এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে,” বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।