সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ভুটান থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা আসেন জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়া জয়শঙ্কর।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। পরে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নিতে দুই সচিব মন্ত্রণালয়ের যান।
এরপর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও সন্ধ্যায় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে জয়শঙ্করের।
নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ছয় মাসের মাথায় গত মাসের শেষ দিকে সুজাতা সিংকে সরিয়ে জয়শঙ্করকে পররাষ্ট্র সচিব করেন।
সার্ক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে নতুন পররাষ্ট্র সচিবকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাঠাচ্ছেন মোদী।
তার এই সফরে দ্বিপক্ষীয় গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ই আলোচনায় উঠবে বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আগেই আভাস দিয়েছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জয়শঙ্করের এই সফর ঝুলে থাকা তিস্তা চুক্তি সইয়ের ক্ষেত্রে গতি দেবে।
এছাড়া স্থল সীমান্ত চুক্তিও উঠবে আলোচনায়, যা কার্যকরে ভারতের পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশনেই সংবিধান সংশোধন বিল পাসের আশা করা হচ্ছে।
২০১১ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির মুখে তা আটকে যায়।
সে সময় স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরেরও বিরোধিতা করেছিলেন মমতা। তবে গত বছর ভারতের লোকসভা নির্বচনে জয়ী হয়ে বিজেপি সরকার গঠনের পর অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন মমতা।
মমতা তার সাম্প্রতিক ঢাকা সফরেও অমীমাংসিত এই দুই বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা দিয়ে যান।
মঙ্গলবার সকালে জয়শঙ্করের পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে। আর আফগানিস্তান সফরের মধ্যে দিয়ে ‘সাক যাত্রা’র প্রথম পর্যায় শেষ করবেন তিনি।